জাবি প্রতিনিধি :
“দুর্জয় তারুণ্য, দুর্নীতি রুখবেই”- শীর্ষক স্লোগানকে ধারণ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘দুর্নীতিবিরোধী উপস্থিত বক্তৃতা ও কার্টুন প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস)’- গ্রুপের আয়োজনে এ বক্তৃতা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান। প্রতিযোগিতায় তিন জন বিজয়ীর মধ্যে প্রথম হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রুবিনা জাহান তিথী,
দ্বিতীয় হয়েছেন একই ব্যাচের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের মালিহা নামলা ও তৃতীয় হয়েছেন ৪৯ ব্যাচের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৌহিদ সিয়াম।
অনুষ্ঠানে টিআইবি’র সিভিক এনগেজমেন্টের পরিচালক ফারহানা ফেরদৌস বলেন, আমাদের ইতিহাসের এমন কোন অর্জন নেই যেখানে তরুণদের ভূমিকা নেই। আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ একজন ভালো মানুষ হওয়া।
শুদ্ধ মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুললে আমাদের কাজের প্রতিফলন সব জায়গায় থাকবে। আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। শুধু আইন দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
জাবি ইয়েস গ্রুপের উপদেষ্টা সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি।
সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলেরও অন্যতম একটি লক্ষ্য দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এটি প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় ভূমিকার রাখতে পারবে এদেশের তরুণরা।
সমাপনী বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমদ বলেন, দুর্নীতি বলতে আমরা সাধারণত আর্থিক অস্বচ্ছতাকে মনে করি। বস্তুত এটি বিভিন্ন মাধ্যমে হতে পারে।
যেকোনো অসঙ্গতিই দুর্নীতির অন্তর্ভুক্ত। আমাদের জীবনকে দুর্নীতিবিরোধী একটি প্লাটফর্মে দাড় করানোর মাধ্যমে আমাদের পার্সোনালিটি ডেভেলপ হবে। একদিন এটি দেশ ও সমাজের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে।