আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাভারের আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার সভাপতি আবুল হাসনাত আজাদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এঘটনায় তাকে বহনকারী রিকশা চালক মনিরকেও ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা

রবিবার (২৬ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন। এর আগে শনিবার গভীর রাতে দক্ষিণ গাজিরচটের শেরআলী মার্কেট মোড়ে তাকে হামলা করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দুই যুবক।

আবুল হাসনাত আজাদ দক্ষিণ গাজিরচটের শেরআলী মার্কেট এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

এঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রিকশা থেকে নেমে এক যুবককে চড়থাপ্পড় দেন। পরে ওই যুবক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। পরে আহত অবস্থায় হাসনাত দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার পিছনে ধাওয়া করেন ওই যুবক।

আহত রিকশা চালক মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ওই নেতাকে তার ব্যক্তিগত অফিস থেকে রাত আড়াইটার দিকে রিকশায় উঠেন। তিনি তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।

আমরা শেরআলী মার্কেটে পৌঁছলে দুই যুবক রাস্তার মাঝখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে ছিল। আমি হর্ণ বাজালেও তার সাইড না দিয়ে গতিরোধ করে।

এসময় হাসনাত ভাইয়ের সাথে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। তাদের মধ্যে একজন কাকে যেন ফোন করেন। কথা শেষ করেই তারা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। আমি বাঁধা দিলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

আহতের ছোট ভাই মহসীন আজাদ বলেন, আমরা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তার সারা শরীরে ৭ টি ছুরিকাঘাতের গভীর ক্ষত রয়েছে।

মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মী সবুর উদ্দিন জানান, হাসনাত রাত দেড়টার দিকে রিকশা করে ত্রীমোড় এলাকায় পৌঁছালে দুই যুবক তার গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি এতটুকুই দেখেছি। পরে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হামলাকারী কুটুরিয়া এলাকার মনসুরের ছেলে বাবুল। এব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহতের দুই ঘাড়ে, পেটের বা পাশে ও পিঠেসহ প্রায় সাত স্থানে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ