আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ২০০ বছরের পুরোনো সেই আম গাছ

গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁওঃ

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীনতম সূর্য্যপুরী আম গাছে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে। আম গাছের শাখায় শাখায় বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই মুকুলদল। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ।

এই আমগাছটি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী সীমান্তে মন্ডুমালা গ্রামে অবস্থিত।

৩ বিঘা জমিজুড়ে দাঁড়িয়ে আছে এই সূর্যপুরী আমগাছ। উত্তরের শান্ত জনপদের নিরব সাক্ষী এই গাছটির ডালপালা দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ ফুট। গাছটির বয়স কত তা ঠিক করে বলতে পাড়ছেন না কেউ। তবে এলাকার বেশির ভাগ মানুষ এক মত যে প্রায় ২০০ বছরের কম নয়।

বৃহৎ এই আমগাছটি প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজ চোখে দেখার জন্য ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।

গাছ দেখেই ডালের উপরে ওঠে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে ছবি তুলছেন তারা। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ দর্শনার্থীরাও গাছের ডালের উপরে উঠে ছবি তুলছেন।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন বলছে, এ আমগাছটি যেহেতু  ব্যক্তিমালিকাধীন তারা চাইলে সেখানে পিকনিক স্পট, রেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্ট তৈরি করতে পারেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

রংপুর থেকে আমগাছটি দেখতে নুসরাত তামান্না নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অনেক দিন আগেই জানতে পারি যে এ জেলায় সবচেয়ে বড় আমগাছটি আছে।

আজকে নিজ চোখে দেখা হলো। তবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত বলে আমি মনে করি। অনেক শিশুসহ, নারীরাও গাছের উপরে উঠে যাচ্ছে। এতে করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী থেকে আসা রাগিব নুর রোহান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, আমি ৭ ঘণ্টা মোটরসাইকেল জার্নি করে এসেছি। আমি একটি ভিডিও দেখেছিলাম বালীয়াডাঙ্গীতে একটি বড় আমগাছ আছে।

আজকে নিজের চোখে দেখে আমি বিমোহিত হয়েছি। আনন্দের সঙ্গে বলতে চাই যে, আমরা যারা অনেক দূর থেকে দেখতে আসি, এতদূর থেকে আসার পর অবশ্যই বিশ্রাম ও খাবারের প্রয়োজন।

কিন্তু এখানে সেটি ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি রেস্ট হাউজ, ভালো মানের রেস্টুরেন্ট এবং একটি মানসম্মত ওয়াশরুম স্থাপন করা জরুরি। এতে করে দর্শনার্থীরা উপকৃত হবে।

মালিকপক্ষের একজন মোল্লা সাহেব বলেন, এখানে জমির খাজনা, সরকারি ট্যাক্সের কারণে ভিতরে দর্শনার্থী প্রবেশ বাবদ ২০ টাকা নেওয়া হয়।

এখানে বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও মানুষ মানে না। আর গত বছরের চেয়ে এ বছর মুকুল অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে । গত বছর ৫০ মণ আম পেয়েছি। এ বছর যে হারে মুকুল আশা করছি ৩০০ মণ আম পাব।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ