আজ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

রাঙ্গুনিয়ায় আ.লীগ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু

 

রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামর রাঙ্গুনিয়ায় ইউনুস মিয়া (৫৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার রহস্যজনক মত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তার মত্যু হয়েছে বলে এক পক্ষ দাবী করলেও অন্য পক্ষ বলছে হার্ট এ্যাটাকে তাঁর মত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ সপ্টম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের মোগলের হাট খামারী পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ইউনুস মিয়া ওই এলাকার মৃত দুলা মিয়ার ছেলে এবং হোছনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। নিহতের পরিবারের দাবী হোছনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদেরর চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেনের নেতৃত্বে তাকে পিঠিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিক চেয়ারম্যান বলছেন সংঘর্ষ থামানোর পর সবাই যখন ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসেন। সেখানেই পরিষদ মাঠে তিনি হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান এবং স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মত্যু হয়েছে। এদিক তাকে পিঠিয়ে হত্যা করা হয়েছে নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছেন এই বিষয়ে এলাকায় রহস্যের জাল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রতি নিছন নিহতের স্বজনরা।
নিহতর স্বজন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের মোগলের হাট খামারী পাড়া এলাকার নিহত ইউনুস মিয়ার সাথে একই এলাকার জেবল হোসেনের পুত্র হাবিবুর রহমান, আজিজুর রহমান এর সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (১৮ সেপ্টম্বর) জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়কজন আহতও হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছে দাবি করছে।
এই ব্যাপার নিহতের ছেলে মুহাম্মদ রাসেল বলেন, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে আমাকে ও আমার বাবাকে বাটাম ও লোহার রড দিয় মারধর করেন প্রতিপক্ষরা। একপর্যায়ে হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের অতর্কিত হামলায় খুন হন আমার বাবা ইউনুস মিয়া।
এই ব্যাপার জানত চাইল ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন বলেন, “ হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আমাকে ফোনে জানায় বহিরাগত কিছু লোক অতর্কিত তাদের গোয়ালঘর ভাংচুর করছেন এবং জায়গা দখল প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। আমি পরিষদের একজন চকিদারসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নর চিহ্নিত কিছু দুর্বৃত্তরা জায়গা দখল প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এবং এই নিয়ে দুইপক্ষের মাঝে মারামারি চলছে। আমি উভয় পক্ষকে শান্ত করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসি। পরে বিষয়টি পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের অবহিত করি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন। তাদের নিয়ে আমরা পরিষদে বসে কথা বলছিলাম। এরমধ্য হঠাৎ শুনি বাইরে ইউনুস মিয়া মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথ স্ট্রোক করে তিনি মত্যুবরণ করছেন। আমার নৈতিক প্রতিপক্ষরা এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমাকে জড়িয়ে নানা ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিকেল অফিসার ডা. তাহরাতুল আশরাফী বলেন, হাসপাতালে আনার আনুমানিক আধাঘন্টা আগে তিনি মারা গেছেন। শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ”
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে। এই ব্যাপারে নিহতর স্বজনদের লিখিত এজহারের ভিত্তিত তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও সংবাদ